২৬ মার্চ থেকে ১০ দিন বন্ধ থাকার পর যেসব শ্রমিক বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন তার প্রায় ৮০ ভাগ শ্রমিক শুক্রবার ও শনিবার চলে এসেছেন গাজীপুর এবং আশপাশের এলাকায়।
শ্রীপুরের বহেরার চালা এলাকার বাড়ির মালিক এবং স্থানীয় ওয়ার্ড কমিউনিটি পু’লিশের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাড়িতে ১০ জন শ্রমিক পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন। কারখানা খোলা থাকার কারণে তারা গতকাল রাতে বাসায় এসেছে। এখন কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেওয়ায় তাদের বাড়ি চলে যেতে হবে। করোনা আ’ক্রান্তের ভ’য়ে তাদের আমরা বাড়িতে রাখতে চাচ্ছি না।’
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার বেড়াইদেরচালা গ্রামের পলমল গ্রুপের আসওয়াদ কম্পোজিট মিলের কোয়ালিটি অপারেটর আব্দুল মজিদ। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজে’লার টেগরী গ্রামে। রবিবার দুপুরে বাড়ি যাওয়ার পথে ওই কারখানার সামনেই সাংবাদিকের কাছে ক্ষো’ভের তিনি ক্ষো’ভের সঙ্গে বলছিলেন, ‘সরকার করোনাভাইরাস রোধ করার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নিলেও পোশাক কারখানার মালিকরা করোনাকে ডেকে নিয়ে আসছেন। মালিক ঘরে বসে বাঁচতে পারবে, আমরা শ্রমিকেরা ঘরে বসে থাকলে মালিকরা বেতন দেবে না। মালিকদের কথামতো অফিসে না আসলে চাকরি চলে যেতে পারে। বেতনও হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। তাই জীবন হাতে নিয়ে ছুটে আসার একটাই কারণ। ’
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার বহেরারচালা (গিলাবেড়াইদ) গ্রামের নান্তাবুর গ্রুপের তাকওয়া গার্মেন্টস্ খোলা রয়েছে। দুপুরে লাঞ্চ বিরতির সময় ওই কারখানার সামনে গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বললে তারা কারখানা মালিকের বি’রুদ্ধে ক্ষো’ভ প্রকাশ করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শ্রমিকরা বলেন, ‘আমরা অনেক ক’ষ্ট করে গতকাল এসেছি। আমাদের মালিক জো’র করে কারখানায় কাজ করাচ্ছে। করোনা মোকাবেলায় কোনও রকম ব্যবস্থা না নিয়ে কাজ করানোয় আমরাও ভ’য়ে আছি। চাকরি যাওয়ার ভ’য়ে জীবনের ঝুঁ’কি নিয়ে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। ’